ছবি : বাংলা
নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় খুচরা বা পাইকারি বাজারে লবণের দাম বেড়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এদিকে দাম বাড়বে বলে আতঙ্কে নেত্রকোনার সর্বত্র সহ খালিয়াজুরি হারাঞ্চলের সহজ সরল ক্রেতাসাধারণ হুড়াহুড়ি করে লবণ কিনতে ভিড় জমিয়েছে বিভিন্ন বাজারে। তবে এটিকে গুজব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
কৃত্রিম সংকট তৈরীর গুজব রটিয়ে অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রি করার দায়ে নেত্রকোনা জেলা শহরের মেঝুয়া বাজারের আড়তদার সমীরণ সাহাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদা আক্তার। পরে শহরের রাজুর বাজার মোড় থেকে দুজনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কেন্দুয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান জানান ৩ ব্যাবসায়ীকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুর্গাপুর উপজেলায় মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েল সংমা বাজারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করেন।
এদিকে পরবর্তী সংকট আতঙ্কে ক্রেতারা সর্বনিম্ন ৫ কেজি ও সর্বোচ্চ ২০ কেজি করে লবণ ক্রয় করে নিচ্ছেন। কৃত্রিম সংকট তৈরীর অপচেষ্টা করায় ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় খালিয়াজুরী সদর এলাকা থেকে হায়দার চৌধুরী নামে একজন ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করেছে। হায়দার চৌধুরী শাল্টা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
নেত্রকোনা সদরের দোলেনা জানান, মানুষের মুখে জানতে পেরেছি পেয়াজের মতো লবণের দামও বাড়বে। তাই আমি ৫ কেজি লবণ কিনে রেখেছি। এমনি করে মঈনপুর এলাকার কামাল জানায় তিনিও কয়েক কেজি লবণ কিনে রেখেছেন।
সাতপাই এলাকার সোহান জানান, বাসা থেকে তার মা ফোন করে জানিয়েছেন, সমানে মানুষ বলাবলি করছে পরে লবণ কিনতে পারবেন না। পেয়াঁজের মতো দাম বেড়ে যাবে। তাই ৮ থেকে ১০ কেজি লবণ কিনে নিয়ে আয়। এদিকে খালিয়াজুরীতে আটক ব্যাক্তির বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ওই থানার ওসি এটিএম মাহমুদুল হক।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের ধরতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। হাতেনাতে ধরা খাওয়া ব্যাবসায়ীদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। নেত্রকোনায় লবণ নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
বাংলা/এএএ