ছবি: এনবিসি থেকে নেয়া
গাজা সীমান্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ এবং ইসরায়েল। ৪৮ ঘণ্টা বিমান ও রকেট হামলা চলার পর উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। তবে মতের অমিল থাকায় তা স্থায়ী নাও হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
ইসরায়েলি হামলায় সপরিবারে ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ নেতা বাহা আবু আল-আত্তা নিহত হওয়ার পর দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই সংঘর্ষের ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল ১৪ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার মিশরের মধ্যস্থতায় চুক্তি কার্যকর হয়েছে বলে জানায় ইসলামিক জিহাদ। যদিও গাজা সীমান্তের বিভিন্ন প্রান্তে বিমান ও রকেট হামলা অব্যাহত রয়েছে, তবে অবস্থা অনেকটা শিথিল বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
গাজার চিকিৎসকরা জানান, গত ২ দিনের সংঘাতে নিহত হয়ছেন ৩৪ ফিলিস্তিনি, যাদের অর্ধেকই বেসামরিক নাগরিক। এদের মাঝে ৮ জন শিশু ও ৩ জন নারী রয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকার দক্ষিণাংশে ইসলামিক জিহাদের রকেট হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ওই হামলার পর স্থানীয়দের সীমান্তের উত্তরে অবস্থিত তেল আবিবের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গাজার প্রভাবশালী দল হামাস এই লড়াইয়ে অংশ না নিলেও গোপনে তাদের মদত রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন বিশ্লেষকরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধরত সেনাদের পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, ‘সামরিক অভিযান তার লক্ষ্য পূরণের সাথে সাথে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আমাদের শত্রুরা এই বার্তাটি পেয়েছে— আমরা যে কারো কাছে পৌঁছে যেতে পারি।’
ইসলামিক জিহাদ জানায়, সুনির্দিষ্টভারে হত্যার উদ্দেশে চালানো হামলা ও গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের সাপ্তাহিক বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণ বন্ধে তাদের দাবি ইসরায়েল মেনে নিয়েছে।
ইসলামিক জিহাদের মুখপাত্র মুসাব আল-ব্রেইম বলেন, ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ দলগুলির পক্ষে এবং ইসলামিক জিহাদ দ্বারা নির্ধারিত শর্ত ইসরায়েল মেনে নেয়ার পর মিশরীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।'
তবে এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কমই দেখছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ এক সাক্ষাৎকারে আর্মি রেডিওকে বলেন, ‘শান্তির জবাব শান্তির মাধ্যমেই আসবে।’
এদিকে এ সংঘাতের জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারী নিকোলায় ম্লাদেনভ বলেন, ‘গাজা পরিস্থিতি এখনো নাজুক রয়ে গেছে।’ এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘রক্তপাত রোধে সকলকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবে এবং যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে আর যুদ্ধের দরকার নেই।’
বাংলা/এসজে/এসএ