ছবি : সংগৃহীত
জন্মান্ধ বাঁশি
অবিকল রোদ্দুরের মতো সামনে এসে দাঁড়ালে যেই,
আমি ভিজে গেলাম এক পশলা আলোর ধারায়।
প্রশ্নগুলো মেঘ হয়ে উড়তে চেয়েও হারিয়ে গেল বাষ্পকণা হয়ে।
স্বতঃসিদ্ধ নয়— কখন ফুটবে রজনীগন্ধা,
কিংবা ঝরবে ঘনীভূত বৃষ্টির জল।
তবু তোমার রোদে ঝলসে গেল দৃষ্টি;
বর্ণান্ধ আমি জন্মান্ধ হয়ে গেলাম।
এখন আমার সকাল-দুপুর মিশে একাকার,
ডুব আলোতে নিমজ্জিত রোদের খোঁজে।
ও রাই, চোখ মেলো—
দুয়ারে একলা শ্যামের বাঁশি লুটোপুটি খায়।
আর জন্মান্ধ প্রেমিকের মতো শ্যাম প্রতীক্ষায়—
তোমায় বাজিয়ে দেখবে বলে।
তোমার অসামাজিকতা কিংবা আমার সামাজিক হয়ে ওঠার ডিজিটাল বাসনালব্ধ পঞ্চদশপদী
ও মাই ডিয়ার প্রিয়তমা,
তোমারে ফেসবুক, টুইটার কোথাও খুঁজে পাই না;
এমনকি গুগলও দিতে পারে না তোমার হদিস।
অনলাইনে তোমার বিরহে তাই
ফটোশপে আমার মুখে লাগে অযত্নের দাঁড়ি-গোঁফ।
ও মাই ডিয়ার প্রিয়তমা,
তোমারে ছাড়া এক মুহূর্তও আমার ভালো লাগে না
ফেসবুক কিংবা টুইটারে, এমনকি গুগলেও।
তুমি কই গেলা আমারে কোনো নোটিফিকেশন না দিয়া।
ও মাই ডিয়ার প্রিয়তমা,
তাও বলি, শোনো—
যদি দেখা না দ্যাও আইজ কিংবা কাইল,
আমি কিন্তু ডিঅ্যাকটিভেট হইয়া যামু ফেসবুকে,
বন্ধ কইরা দিমু টুইটার, আমারেও কিন্তু খুঁইজ্যা পাইব না গুগলেও—
এইডাই আমার আলটিমেটাম।