ছবি : সংগৃহীত
মধ্য আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর একটি গ্রামের সকল মানুষ ও পশুই অন্ধ। ঘন অরণ্যে ঘেরা ওই গ্রামের নাম টিলটেপেক। এ গ্রামে প্রায় শ’তিনের জাপোটেক জাতির মানুষ বাস করেন। তাদের প্রত্যেকেই দৃষ্টিশক্তিহীন।
এই অন্ধত্বের পেছনে গ্রামবাসী দায়ী করেন লাবজুয়েলা নামে একটি গাছকে। তারা মনে করেন, অভিশপ্ত ওই লাবজুয়েলা গাছই তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয়।
এমনো দাবি করা হয়, এই গ্রামে জন্ম নেয়া নবজাতকেরা শুরুতে আর পাঁচটা নবজাতকের মতোই সুস্থ-সবল অবস্থাতেই জন্মায়। কিন্তু এক সপ্তাহ পরই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে তারা।
কেন ওই গ্রামের মানুষ তা জানতে তদন্ত শুরু করে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছেন তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজ্ঞানীরা। লাবজুয়েলা গাছের যে গল্প গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে আছে তা নিয়েও চলে গবেষণা। কিন্তু দেখা যায়, ওই গাছের সঙ্গে তাদের দৃষ্টিহীনতার কোনও সম্পর্কই নেই। তবে কী দায়ী তাদের এ দৃষ্টিহীনতার জন্য?
অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা পারেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এখানকার ঘন অরণ্যে রয়েছে ‘ব্ল্যাক ফ্লাই’ নামের এক প্রজাতির বিষাক্ত মাছি। এই মাছি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে টিলটেপেক গ্রামেও। এই বিষাক্ত মাছির কামড়ে জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলেই শিশু থেকে বুড়ো এবং পশুরাও ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে।
মেক্সিকো সরকার এসব জানতে পেরে গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা সেখান থেকে চলে যেতে রাজি না হওয়ায় ব্যর্থ হয় সেই প্রচেষ্টা।
বাংলা/এসএ