ফাইল ছবি
বরগুনা প্রতিনিধি :
গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিবকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার সহযোগী আসামি ইদ্রিস ও হায়দারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মো. এনছের আলীর ছেলে হাসিব। তার সহযোগী একই গ্রামের হায়াত আলীর ছেলে ইদ্রিস ও সোনা মিয়ার ছেলে হায়দার।
রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসিব ও ইদ্রিস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি হায়দার পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসিবের সাথে মোবাইল ফোনে ১৭ বছরের এক গার্মেন্টস কর্মীর পরিচয় হয়। হাসিব তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে আসামি ইদ্রিস ও হায়দার তাকে বিয়ের বিষয়ে নিশ্চিত করে। আসামিদের আশ্বাসে ওই গার্মেন্টসকর্মী হাসিবের বাড়িতে আসে।
২০০৭ সালের ১০ জুলাই রাত ১১টায় আসামি হাসিবের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই রাতে ইদ্রিস ও হায়দার ওই মেয়েটিকে ঘরের বাইরে আসতে বলে। তাদের কথা মত মেয়েটি বাইরে গেলে ইদ্রিস ও হায়দারের সহযোগিতায় হাসিব ঘরের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। অন্য দুই আসামি ইদ্রিস ও হায়দার পাহারা দেয়।
এঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই ট্রাইব্যুনালে মামলা করে। তদন্ত করে পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিপক্ষে ছিলেন কামরুল আহসান মহারাজ।
বাংলা/এসএস