ছবি : সংগৃহীত
দুধে সীসা, অ্যান্টিবায়োটিকসহ ক্ষতিকর উপদান পাওয়ায় মিল্কভিটাসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানের দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দুধ বিক্রি না করে পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকালে এমন চিত্র দেখা গেছে দেশের সর্ববৃহৎ দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে।
জানা যায়, প্রতিদিন শাহজাদপুর ও আশেপাশের এলাকায় লাখ লাখ গাভী থেকে প্রায় সাত লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। এর বেশিরভাগ দুধ ক্রয় করে মিল্কভিটা, প্রাণ, আফতাব, ব্রাকের আড়ংসহ বড় বড় কোম্পানীগুলো। কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব কোম্পানী সোমবার সকাল থেকে দুধ ক্রয় সম্পুর্ণভাবে বন্ধ রাখে।
খামারীরা তাদের দুধ বিক্রি করতে না পেরে ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিভিন্ন লোকালয়ে ও বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। গ্রাহকের তুলনায় দুধ বেশি হওয়ায় অনেক খামারী দুধ বিক্রি করতে না পেরে পানিতে ফেলে দেন। এদিকে সকালে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার প্রধান কারখানার সামনে জড়ো হয় বিভিন্ন দুধ ক্রয় সমিতির সদস্য ও নেতৃবৃন্দ। এসময় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
মিল্কভিটার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ডা. এ এফ এম ইদ্রিস বলেন, আদালতের আদেশের কারণে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার আদালতের নির্দেশ পেলেই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এর লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ, মজুদ ও ক্রয় পাঁচ সপ্তাহ বন্ধ রাখতে রবিবার যে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট- সোমবার তা স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মাদ নুরুজ্জামানের আদাল ৮ সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
সোমবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্কভিটা) করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে মিল্কভিটার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজি জিনাত হক ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ (ফরহাদ)। এ আদেশের ফলে স্বস্তি ফিরেছে খামারীদের মাঝে।
বাংলা/এএএ