ছবি : সংগৃহীত
চলতি বছরের শুরু থেকে এই পর্যন্ত ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি কমিটি। নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছে।
মঙ্গলবার তুরস্কের ডেইলি সাবাহ’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিহত শহীদদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তৈরি একটি কমিটি সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
ওই কমিটি জানায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ২৫ জন এবং ইসরায়েল অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ৫৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৯ জন নারী এবং ১৭ জন শিশু রয়েছে। নিহত নারীদের মধ্যে দুই জন গর্ভবতী নারী ও ছিলেন।
গত বছরের মার্চ থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার নিজেদের ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের দাবিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সীমান্তে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। ১৯৪৮ সালে ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে জোর করে বিতাড়িত করা হয়। শরণার্থী ওইসব ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের দাবি জানিয়ে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গাজা শাসন করা ইসলামি গোষ্ঠী হামাস।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করারও দাবি জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকে ১২ বছর ধরে ইসরায়েল এবং মিশর গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে। উপকূলীয় এই ছিটমহলটি অবরোধ করে রাখার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেখানকার অর্থনীতি। গাজা উপত্যকায় বাস করা ২০ লাখ ফিলিস্তিনি দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক বছরেরও বেশি সময় আগে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভ সমাবেশের পর থেকেই ইসরায়েলি নিরাপত্তারক্ষীর হাতে অনেক বিক্ষোভকারীই নিহত হন এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আহত হন। চলতি বছরের মার্চে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হলে ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের জনগণের দুর্দশা আরো বাড়তে থাকে।
বাংলা/এফকে