ছবি : সংগৃহীত
পুঁইশাক বেশ জনপ্রিয় একটি শাক। এর রয়েছে অনেক গুণ। গাঢ় সবুজ রঙের এই শাকে রয়েছে বেশকিছু উপকারিতা। দেশজুড়ে পুঁইশাকের রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। সহজলভ্য বলে এই শাক নানারকম পুষ্টিগুণে ভরপুর।
এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন `এ` এবং `সি`, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, বৃদ্ধি ও বর্ধনে সাহায্য করে, চোখের পুষ্টি জোগানো ও চুলকে মজবুত রাখে।
তাই নিয়মিত পুঁই শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. পুই শাঁকে খুবই কম পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
৩. পুঁইশাক বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন ,জিজানথিনের ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এসব উপাদান ত্বকে তারুণ্যতা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।
৪. প্রতি ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে দিনের চাহিদার শতভাগেরও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. দিনের চাহিদার ১৫ ভাগ আয়রন পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে। এ কারণে এটি রক্তশূন্যতা পূরণে সহায়তা করে।
৬. পুঁইশাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সিক্স, ফলিক এসিড এবং রিভোফ্লাভিন পাওয়া যায়।গর্ভাবস্থায় এই শাক নিয়মিত খেলে গর্ভস্থ শিশুর নার্ভ ভাল থাকে।
৭. পুঁইশাকে বিভিন্ন ধরনের খনিজ যেমন-পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং কপার থাকে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৮. পুঁইশাকে থাকা স্যাপোনিন উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
৯. কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও পুঁইশাক বেশ উপকারী।
১০. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পুঁইশাক দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
বাংলা/এবি